মঙ্গলবার সচিবালয়ে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিতে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক পর্যালোচনা বৈঠক শেষে এ কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
মহামারীর দেড় বছরের মধ্যে দেশ যখন সবচেয়ে বিপর্যয়কর অবস্থায়, লকডাউন দিয়েও যখন সংক্রমণ ও মৃত্যু কমানো যাচ্ছে না, তখন করণীয় কী ঠিক করতে এই বৈঠক হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এতে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট দফতর ও বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে সভার সিদ্ধান্ত নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘টিকা দেয়ার বিষয়ে জোর দেয়া হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদ থেকেও টিকা দেয়া হবে। ৭ আগস্ট থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা দেয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘এনআইডি কার্ড নিয়ে যিনি যাবেন, তাকেই টিকা দেয়া হবে।’
যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তাদের ‘বিশেষ ব্যবস্থায়’ কোভিড টিকা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
জনপ্রতিনিধিসহ সবাইকে টিকা কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত করা হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা টিকাদান কর্মসূচি জোরদার করব। যে টিকা আছে তা দিয়েই শুরু করব।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের বলেন, ‘৫০ এর বেশি যাদের বয়স, সেসব রোগী হাসপাতালে বেশি এবং তারা টিকাও নেননি। এই বয়সীরা অগ্রাধিকার পাবেন।’
কোভিড নিয়ন্ত্রণে গত ফেব্রুয়ারিতে দেশে গণটিকাদান শুরু হলেও তা এখনো শহরকেন্দ্রিক। কিন্তু সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ গ্রামেও পরিস্থিতি নাজুক করে তুলেছে।
সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে যে লকডাউন চলছে, তা শিথিল হচ্ছে না বলে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘চলমান লকডাউন চলবেই। শিল্পপতিরা যে অনুরোধ করেছেন, তা গ্রহণ করতে পারছি না।’
মাঠের চিত্রে লকডাউন অনেকটাই ঢিলেঢালা হয়ে পড়েছে। এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এবিষয়ে বলা হয়েছে।’
চলমান লকডাউন আর বাড়ানো হবে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আলোচনা হয়নি।’