বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চার্টার্ড ফ্লাইট বিজি-৫০৬৫ বৃহস্পতিবার রাতে চীন থেকে সিনোফার্মের ১০ লাখ ডোজ টিকা নিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
বিমানের আরও দুটি ফ্লাইট আজ শুক্রবার ভোরে ঢাকায় আসে। যেগুলোতে আসছে আরও ২০ লাখ ডোজ টিকা।বাংলাদেশ বিমানের উপমহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার শুক্রবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এই ৩০ লাখ ডোজের পুরোটাই চীনা কোম্পানি সিনোফার্ম থেকে বাংলাদেশের কেনা করোনাভাইরাসের টিকা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা টিকার চালান নিতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর (এমএনসিঅ্যান্ডএইচ) ডা. মো. শামসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, “এসব টিকা বেক্সিমকোর ওয়্যারহাউজে রাখা হবে। সেখান থেকে চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় টিকা পাঠানো হবে।”
বাংলাদেশ ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার পর সিনোফার্মের টিকা কিনেছে। সেরামের টিকা বেক্সিমকোর মাধ্যমে কেনা হয়েছিল।
সিনোফার্মের টিকা সরাসরিই কিনছে সরকার। চীনা কোম্পানিটির সঙ্গে ৩ কোটি ডোজ টিকা কেনার চুক্তি করা হয়েছে।
দেশে সিনোফার্মের কোভিড টিকা আসার পর প্রথম নিয়েছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী অনন্যা সালাম সমতা। ফাইল ছবি
গত ১২ মে চীন সরকারের উপহার হিসেবে সিনোফার্মের ৫ লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশে আসে। সেটাই ছিল চীন থেকে আসা টিকার প্রথম চালান। উপহারের টিকার দ্বিতীয় চালানে ৬ লাখ ডোজ টিকা আসে গত ১৩ জুন।
এছাড়া ৩ জুলাই এবং ৪ জুলাই দুটি ফ্লাইটে ১০ লাখ করে ২০ লাখ ডোজ, ১৭ জুলাই ১০ লাখ ডোজ এবং ১৮ জুলাই ১০ লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশে আসে।
দেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও সিনোফার্মের ছাড়াও মডার্না, ফাইজারের টিকা ইতোমধ্যে এসেছে। টিকা সরবরাহের বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্স থেকে মডার্না ও ফাইজারের টিকা বিনামূল্যে পাওয়া গেছে। সেরামের টিকা কেনার পর গত ৭ ফেব্রুয়ারি দেশে গণটিকাদান শুরু হয়। সেরামের চালান আটকে যাওয়ায় মাঝে টিকাদানের গতি ব্যাহত হয়েছিল।
চীন থেকে কেনা ও কোভ্যাক্সের টিকা আসার পর টিকাদানে আবার গতি ফিরেছে। এখন ২৫ বছর বয়সীদেরও টিকা দেওয়া হচ্ছে, শুরুতে যা ছিল শুধু ৪০ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য। ৮ অগাস্ট থেকে ১৮ বছর বয়সীরাও টিকা নিতে নিবন্ধন করতে পারবেন।
এখন শুধু শহরে টিকা দেওয়া হলেও ৭ অগাস্ট থেকে ইউনিয়ন পর্যাযয়েও টিকাদান শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।