প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস ও করোনা উপসর্গ নিয়ে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে সাতজন ও করোনা উপসর্গে ছয়জন মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টার মধ্যে বিভিন্ন সময়ে মারা গেছেন তারা। এরআগের ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ফলে একদিনের ব্যবধানে আবার মৃত্যুর সংখ্যা কিছুটা কমেছে রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে। রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘মৃতদের মধ্যে রাজশাহী জেলার ছয়জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের একজন, নাটোরের তিনজন ও নওগাঁর তিনজন ছিলেন। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন রাজশাহীর চারজন, নাটোরের একজন ও নওগাঁর দুইজন। আর করোনা উপসর্গে মারা গেছেন রাজশাহীর দুইজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের একজন, নাটোরের দুইজন ও নওগাঁর একজন।’
রামেক হাসপাতাল পরিচালক জানান, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালে নতুন ভর্তি হয়েছেন ৬৫ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫০ জন। রামেক হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে ১৮৯ জন ও উপসর্গ নিয়ে ২৩৬ জন ভর্তি রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৫১৩টি শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি ছিলেন ৪২৫ জন।’
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, ‘রামেক হাসপাতালের পিসিআর মেশিনে ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষায় ৬৪ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। আর রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের পিসিআর মেশিনে ৪৬৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৭৪ জন করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। দুই ল্যাবে মোট ৬৫১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ১৩৮ জনের করোনা পজিটিভ ফল আসে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৮৭ শতাংশ।’
রামেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চলতি জুলাইয়ের ৩০ দিনে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত মোট ৫২২ জনের মৃত্যু হলো। এছাড়া গত জুনে রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন ৪০৫ জন রোগী।