বৃহস্পতিবার জাপানের রাজধানীতে রেকর্ড সংখ্যক নতুন সংক্রমণ বেড়েছে। প্রথম বারের মতো দেশব্যাপী সংক্রমণ ১০ হাজার ছাড়িয়েছে।
করোনার কারণে পিছিয়ে যাওয়া টোকিও অলিম্পিক ২০২০ আয়োজকরা এই অনুষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত ২৭টি নতুন সংক্রমণের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। যাএখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। তবে তারা জোর দিয়ে বলেছে, এর সাথে জাপানের সংক্রমণ বৃদ্ধির কোন সম্পর্ক নেই।
প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা বলেছেন, সরকার ‘জরুরি ভিত্তিতে কাজ করছে’ এবং শুক্রবার সংক্রমণ বিরোধি ব্যবস্থা জোরদারের ঘোষণা দেয়া হবে। টোকিওতে চলমান জরুরি অবস্থায় রেস্টুরেন্ট এবং বার খোলা রাখার সময় হ্রাস এবং অ্যালকাহোল বিক্রি থেকে বিরত রাখার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ২২ আগস্ট নাগাদ এই এই নিষোধাজ্ঞা শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। তবে সরকার মাসের শেষ দিন পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে।
সরকারের মুখপাত্র কাটসুনো বুকাতো শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, দক্ষিণ ওকিনাওয়ার জরুরি অবস্থার ক্ষেত্রেও এই মেয়াদ বাড়ানো হবে এবং রাজধানী ও ওসাকার পশ্চিমে আশ পাশে আরো তিনটি অঞ্চলেও কঠোর বিধি নিষেধের আওতা সম্প্রসারিত হবে। অলিম্পিক ৮ আগস্ট পর্যন্ত চলবে। প্যারালিম্পিক ২৪ আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। প্যারালিম্পিকে দর্শকদের ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।
অলিম্পিক আয়োজকরা বলেছেন, শুক্রবার এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্কিত ২৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৩ জন ক্রীড়াবিদ রয়েছেন। এ নিয়ে চলতি মাসে মোট ২২৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ৯৮ জন বিদেশ থেকে এই গেমসে অংশ নিতে এসেছেন।
আয়োজকরা বলেছেন, প্রায় ৩৯ হাজার ৮শ’ লোক এই অনুষ্ঠানের জন্য জাপানে এসেছেন। সূত্রঃ বাসস