এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে সরাসরি কোনো কারণ দেখানো হয়নি। তবে ইসিবির বিবৃতিতে যে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, সেটায় বোঝা গেছে মানসিক অবসাদ থেকে মুক্তির লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত স্টোকসের। করোনাকালে একটি সিরিজ মানেই কঠিন পরীক্ষা।
কোয়ারেন্টিন পর্ব, আইসোলেশন ও জৈব সুরক্ষা মিলিয়ে ক্রিকেটারদের দীর্ঘ সময় পরিবার থেকে দূরে থাকতে হচ্ছে। সে সঙ্গ গত এক বছর অনেক বড় একটা সময় সফরে কাটিয়েছেন স্টোকস। ঘরের মাঠের খেলাগুলোতেও পরিবার থেকে দূরে থাকতে হয়েছিল। এরই মাঝে পাকিস্তানের সঙ্গে গত বছর সিরিজের মাঝপথে একবার নিউজিল্যান্ডে গিয়েছিলেন বাবাকে দেখতে। ডিসেম্বরে বাবার মৃত্যু সংবাদও পেয়েছেন বেন
এ ব্যাপারে এক বিবৃতিতে ইংল্যান্ডের ছেলেদের ক্রিকেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যাশলি জাইলস বলেছেন, ‘নিজের অনুভূতি ও ভালো থাকার ব্যাপারে মুখ খুলে বেন অনেক সাহসের পরিচয় দিয়েছে। সব সময় আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল আমাদের লোকজনকে মানসিকভাবে ভালো রাখা, তাদের সুরক্ষা দেওয়া। স্বাভাবিক সময়েই খেলার জন্য প্রস্তুত হওয়া এবং শীর্ষ মানের খেলা উপহার দেওয়া অনেক চাপ সৃষ্টি করে। বর্তমান মহামারির সময়ে সেটা আরও বহুগুণে বেড়েছে।’
করোনার কারণে ক্রিকেটারদের মানসিক স্বাস্থ্যের কী হাল সেটাও প্রকাশ পেয়েছে জাইলসের বিবৃতিতে, ‘অনেক বড় একটা সময় পরিবার থেকে দূরে থাকা, ন্যূনতম স্বাধীনতার মধ্যে থাকা খুবই কঠিন। গত ১৬ মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে এমন আবহের মধ্যে খেলার প্রভাব সবার মধ্যেই পড়েছে। বেনের যতটুকু সময় দরকার ততটুকুই পাবে। আশা করি ভবিষ্যতেও ইংল্যান্ডের হয়ে তাঁকে খেলতে দেখব।’
ইংল্যান্ডের টেস্ট স্কোয়াডে স্টোকসের বিকল্প হিসেবে ক্রেগ ওভারটনকে নেওয়া হয়েছে।