এ বিষয়টি বিবেচনায় এনে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আগেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান বলেছেন, ‘পর্যাপ্ত আসন থাকায় এই স্তরের বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। অন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অপেক্ষা করতে গেলে অধিকাংশ শিক্ষার্থীই পিছিয়ে পড়বে। তাই ভর্তি কার্যক্রম শেষ করে এই স্তরের শিক্ষার্থীদের পাঠদানের মধ্যে রাখতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
জানা গেছে, এত দিন সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি শুরু হতো। এতে যদি কোনো শিক্ষার্থী পছন্দের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ না পেতেন, তাহলে তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তি হতে পারতেন। কিন্তু এবার করোনার কারণে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভর্তি পরীক্ষাই নিতে পারছে না। ফলে আর অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা করতে চাইছে না জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি, ভর্তির আবেদন গ্রহণ শেষ হচ্ছে ১৪ আগস্ট।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ। তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, সব বিশ্ববিদ্যালয়ের আগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করানোটা ঠিক হবে না। তারা আগে যেভাবে ভর্তি করত, সেটাই অনুসরণ করা উচিত।’
তবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, আমরা হিসাব করে দেখেছি ১ শতাংশ শিক্ষার্থী ভর্তির পর চলে যায়। যেসব শিক্ষার্থী চলে যায় তাদের ভর্তির টাকা ফেরত দিতে নানা জটিলতা হয়। তবুুও এবার সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।