সিলেট নগরীতে দিন দুপুরে একটি কল সেন্টারের ডাটা ব্যাংক চুরির অভিযোগ উঠলেও মামলা হয়নি। এনিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।
চুরির খবর ছড়িয়ে পড়ার পর আতঙ্কে থাকার কথা জানিয়েছেন তথ্য জমা দেওয়া গ্রাহকরা।
নাম প্রকাশ না করে গ্রাহকরা জানান, জমা দেওয়া ব্যক্তিগত তথ্যাদির কোনো হেরফের হলে কল সেন্টারের বিরুদ্ধে তারা মামলা করবেন।
সংশ্লিষ্টরা দাবি করছেন-শুক্রবার দুপুরে বহতল ভবনে থাকা ‘ফেইথ ফোন কল সেন্টার’ এর ডাটা ব্যাংক চুরি হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আবু ফরহাদ বলেন, সংশ্লিষ্টরা চুরির খবর জানালেও মামলা দেননি। আমরা অভিযোগের অপেক্ষায়। অভিযোগ পেলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, ফেইথ ফোন কল সেন্টারে চুরির ঘটনায় মামলা না হলেও অভিযোগ শোনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, শুক্রবার ছুটির দিনে শুধু একজনই ওই সেন্টারে গিয়েছিলেন। অভিযোগ পেলে কে গিয়েছিলেন সেটা দ্রুত খুঁজে বের করা সম্ভব। এ সময় তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ কোনো কারণে এমন ঘটনা ঘটে থাকলে তা সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা পেলে খতিয়ে দেখা হবে।
সিলেট নগরীর নাইরপুরলস্থ আলিবাগ টাওয়ারের তৃতীয় তলায় ফেইথ ফোন কল সেন্টারটি অবস্থিত। তারা বিভিন্ন ধরণের কাজের জন্য অসংখ্য মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য জমা নিয়েছেন।
প্রতিষ্ঠানটির চিফ অপারেশন অফিসার শফিকুল ইসলাম রাজন দাবি করছেন, চুরির ঘটনায় প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের চুরি হওয়া কম্পিউটারের ডাটা ব্যাংকে ৩ হাজারের অধিক কাস্টমারের সকল তথ্য সংগৃহীত ছিল।
তার দাবি, ২০১২ সাল থেকে সরকারের অনুমতি নিয়ে সুনামের সঙ্গে তারা ব্যবসা করে আসছেন। প্রতিষ্ঠানটিতে ৫১ জন স্টাফ কাজ করেন। চুরির ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।