শুক্রবার ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে এক্সনমোবিলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান বলে দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সেখানে বলা হয়, উপদেষ্টা বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য শক্তির জন্য স্টোরেজ সুবিধা নির্মাণে বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন জ্বালানি উৎসের সুষম ব্যবহার বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
“উপদেষ্টা স্বীকার করেন যে এক্সনমোবিলের মত কোম্পানিগুলো, যারা বাংলাদেশে এলএনজি ব্যবসা করতে আগ্রহী, দামের অস্থিরতার ক্ষেত্রে তাদের হেজিংয়ের গ্যারান্টি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। তিনি এক্সনমোবিলকে গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধান ত্বরান্বিত করতে এবং ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক এবং স্থলভিত্তিক ফ্যাসিলিটি নির্মাণে বিনিয়োগ করতে বলেন।”
বাংলাদেশের জ্বালানি চাহিদা নিশ্চিত করতে এক্সনমোবিল ‘কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ’ করেছে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
যুক্রাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম সহিদুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ দূতাবাস ও এক্সনমোবিলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা তৌফিক-ই- এলাহী চৌধুরীর উপস্থিতিতে পরে ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে সামিট অয়েল অ্যান্ড শিপিং কোম্পানি লিমিটেড এবং কমনওয়েলথ এলএনজির মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিদ্যমান জ্বালানি সহযোগিতা আরও সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে এ ধরনের পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এর আগে ২৯ জুলাই সকালে উপদেষ্টা ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন করেন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।