বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাবতলীতে ঢাকামুখী মানুষের চাপ বাড়লেও শনিবারের তুলনায় আজ কিছুটা কম রয়েছে। তবে যাত্রীদের মধ্যে অধিকাংশই রপ্তানিমুখী শিল্পের শ্রমিক ও সংশ্লিষ্টরা। নির্ঘুম রাত পাড়ি দিয়ে অনেকেই রোববার সকালে যোগ দিয়েছেন কর্মস্থলে। আবার কেউ কেউ রাস্তায় কিছুটা দুর্যোগের কারণে বিলম্বে হলেও কর্মস্থলে যোগ দেবেন। এর পাশাপাশি লকডাউনে আটকে বাড়িতে আটকে থাকা অনেকেই ঢাকায় ফিরছেন।

সাতক্ষীরা থেকে ঢাকায় ফেরা নাজমুল ইসলাম জানান, শনিবার রাতে রওনা দেই বাড়ি থেকে। সরাসরি বাস পাইনি। ভেঙে ভেঙে ৪-৫টি গাড়ি বদল করে ঢাকায় পৌঁছেছি। এতে আমার ১৬০০ টাকা খরচ হয়েছে। তবুও কাজে যোগ দিতে বাধ্য হয়ে আসতে হয়েছে।

নাটোর থেকে আসা শিল্পী বেগম বলেন, কয়েকজন মিলে একটি ট্রাক ভাড়া করে ঢাকায় ফিরতে হলো। বাস চলার বিষয়টি জানা ছিল না।

যশোর থেকে আসা এমএম পরিবহনের ড্রাইভার মিন্টু বলেন, মাত্র ১৬ ঘণ্টার জন্যে লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। এই সময়ের ভেতর যাত্রী নিয়ে ঢাকায় আসা, আবার বাড়িতে ফিরে যাওয়া একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তবুও জীবিকার তাগিদে আসতে হয়েছে।

এদিকে গণপরিবহন খুলে দেওয়ায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন গাবতলীতে দায়িত্বরত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর গাজী মাহবুব আলম। তিনি বলেন, আমাদের চেকপোস্ট তুলে নেওয়া হয়েছে। গাড়িচালকদের মধ্যে কিছু সংশয় ছিল, সেটিও কেটে গেছে।