রোববার মহাখালীর বিসিপিএসে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এই প্রতিক্রিয়া জানান তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেন, সরকারকে জীবনের পাশাপাশি জীবিকার কথাও ভাবতে হয়। করোনাভাইরাস মহামারীর সবচেয়ে নাজুক অবস্থার মধ্যে চলমান লকডাউনে কারখানাও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার।
কিন্তু ব্যবসায়ীদের আহ্বানে আকস্মিকভাবে ১ অগাস্ট থেকে রপ্তানিমুখী কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত জানালেও লকডাউন বহাল রাখা হয়।
এতে হাজার হাজার শ্রমিক বিড়ম্বিত এক যাত্রায় ট্রাকে চেপে, ভেঙে ভেঙে ছোট গাড়িতে, কেউবা হেঁটে ঢাকার পথে রওনা হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “তারা ফেরিতে গাদাগাদি করে এসেছে। তিল ধারণের জায়গা ছিল না। অবশ্যই এর মাধ্যমে সংক্রমণ কিছুটা বৃদ্ধি পাবে।
“আমরা স্বীকার করি আর না করি। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব হয়নি। আমরা আশা করি আগামীতে এই ধরনের অবস্থা যেন না হয়।”
সেক্ষেত্রে কারখানা খোলার এই সিদ্ধান্ত কেন- তার ব্যাখ্যায় জাহিদ মালেক বলেন, “জীবনের জন্য জীবিকা দরকার, আবার জীবিকার জন্য জীবনও থাকতে হবে। এই দুটোর সমন্বয় আমাদের করতে হয়। সরকারের সব দিকেই ব্যালেন্স করে চলতে হয়।”
মহাখালীর বিসিপিএস মিলনায়তনে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ক্লাস আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ৭ অগাস্ট থেকে ১৪ অগাস্ট পর্যন্ত সাত দিনে প্রায় ১ কোটি মানুষকে কোভিড-১৯ টিকা দেওয়া হবে।
“দেশের ইউনিয়ন বা ওয়ার্ড পর্যায় থেকে শুরু করে রাজধানী পর্যন্ত সব জায়গায় এই টিকা উৎসব চলবে। এই টিকাদানে বয়স্ক মানুষকে অগ্রাধিকার দিয়ে তারপর অন্যদের টিকা দেওয়া হবে।”
বেশি মানুষকে টিকার আওতায় আনতে কেবল জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা কোনো কোনো ক্ষেত্রে আরও সহজ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে টিকা দেওয়া হবে বলে জানান জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. ইউসুফ ফকিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, বিএমএর সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাচিপ সভাপতি অধ্যাপক ডা.ইকবাল আর্সলান উপস্থিত ছিলেন।