আগামী ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত ২৪ জন রাশিয়ান কূটনীতিককে নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে ওয়াশিংটন। তাদের ভিসারমেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আনাতোলি আন্তোনভ।
দেশ দুটোর মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে এই নির্দেশনা এল। এর ফলে দুই দেশের সম্পর্কে আরও সঙ্কট তৈরি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। খবর রয়টার্সের।
রোববার প্রকাশিত ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট ম্যাগাজিনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে আন্তোনভ একথা জানালেও কোনো সুনির্দিষ্ট বিরোধের কারণে এমনটা ঘটেছে কিনা সে ব্যাপারে কিছু জানাননি। ওয়াশিংটনের কাছ থেকেও এই বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
রুশ রাষ্ট্রদূত বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্প্রতি কঠোর করা হয়েছে। ফলে যে ২৪ জন কূটনীতিককে যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে যেতে হচ্ছে, তাদের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে কারা আসছেন, তা এখনো স্পষ্ট করা হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস সোমবার বলেন, ওয়াশিংটন মস্কোর বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে রাশিয়ার কূটনীতিকদের ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়াকে ব্যবহার করছে না। তিনি বলেন, রুশ রাষ্ট্রদূত যা বলেছেন, সেটা ঠিক নয়। তাতে সত্যিকার কারণটা আসেনি।
তবে ঠিক কী কারণে রুশ কূটনীতিকদের যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে বলা হয়েছ, সেটাও স্পষ্ট করেননি প্রাইস। তিনি বলেন, এটা নতুন কিছু নয়। রুশরা তিন বছর পর পর ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন জানিয়ে থাকে। ওইসব আবেদন একটার পর একটা রিভিউ করে দেখা হয়।
রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সব সময়ই একটা না একটা দ্বন্দ্ব লেগেই থাকে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যু ছাড়াও দ্বিপাক্ষিক ইস্যু নিয়েও মতবিরোধ থাকে দেশ দু'টির মধ্যে। কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, তার ধারণা, রুশ প্রেসিডেন্ট একজন খুনি। তবে গত ১৬ জুন বাইডেন-পুতিন আলোচনার পর উত্তেজনা কিছুটা কমে আসে।