মিরপুরে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ২৩ রানে হারিয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এটাই বাংলাদেশের প্রথম জয়। একইসাথে সবচেয়ে কম পুঁজি নিয়ে জয়ের রেকর্ডও গড়েছে টাইগাররা।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ধীর গতির ব্যাটিংয়ে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৩১ রান তুলে স্বাগতিক বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসানের ৩৩ বলে ৩৬, নাঈম শেখের ২৯ বলে ৩০ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ২০ বলে ২০ রানের ইনিংসের সুবাধে সেই রান তুলতে পেরেছে টাইগাররা। অজিদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের দিনে ছন্দে ছিলেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। শেষদিকে ১৭ বলের মোকাবেলায় ২৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে জশ হ্যাজলউড তিনটি, মিচেল স্টার্ক দুটি এবং অ্যাডাম জাম্পা ও অ্যান্ড্রু টাই একটি করে উইকেট শিকার করেন।
জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রথম তিন ওভারে অ্যালেক্স ক্যারি, জশ ফিলিপ ও মইসেস হ্যানরিকসকে সাজঘরে ফেরান শেখ মেহেদী হাসান, নাসুম আহমেদ ও সাকিব আল হাসান। ১১ রানে ৩ উইকেট হারালে চাপে পড়ে যায় সফরকারীরা। সেই চাপ সামলানোর চেষ্টা করেন মিচেল মার্শ।
আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েডও। তবে ২৩ বল মোকাবেলা করেও ১৩ রানের বেশি করতে পারেননি। নাসুম একে একে শিকার করেন মার্শ, ও ‘দুই অ্যাশটন’ অ্যাগার ও টার্নারকে। অ্যাগার অবশ্য হিট উইকেটের শিকার হন। ৪টি চার ও একটি ছক্কায় ৪৫ বলে ৪৫ রান করা মার্শ বিদায় নিলেই কার্যত ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে দলটি।
৮৪ রানের মধ্যেই অজিরা হারিয়ে ফেলে ৬টি উইকেট। এরপর দাপট দেখান পেসাররা। সপ্তম ও দশম উইকেট শিকার করেন মুস্তাফিজুর রহমান, অষ্টম ও নবম উইকেট শিকার করেন শরিফুল ইসলাম। অজিরা ২০ ওভারে অলআউট হয় ১০৮ রানে।
নাসুম ৪ ওভার বল করে ৪ উইকেট শিকার করেন ১৯ রানের খরচায়। এর আগে ৪টি টি-টোয়েন্টি খেলে মাত্র ২টি উইকেট শিকার করেছিলেন সিলেটের এই বাঁহাতি স্পিনার। মুস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম শিকার করেন দুটি করে উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-বাংলাদেশ : ১৩১/৭ (২০ ওভার),সাকিব ৩৬, নাঈম ৩০, আফিফ ২৩, রিয়াদ ২০, হ্যাজলউড ২৪/৩, স্টার্ক ৩৩/২ জাম্পা ২৮/১.
অস্ট্রেলিয়া : ১০৮/১০ (২০ ওভার), মার্শ ৪৫, ওয়েড ১৩, নাসুম ১৯/৪, মুস্তাফিজ ১৬/২, শরিফুল ১৯/২
ফল : বাংলাদেশ ২৩ রানে জয়ী।