ক্রিকেটে বাংলাদেশকে ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন সাকিব আল হাসান। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে তিনি ছাড়িয়েছেন অনেককে। এবার টি টোয়েন্টি ক্রিকেট গড়লেন নতুন এক রেকর্ড।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পঞ্চম ম্যাচে সাকিব পান ৪ উইকেটের দেখা। আর তাতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে তিনি স্পর্শ করলেন উইকেটের সেঞ্চুরি। শুধু তাই নয় বৈশ্বিক ক্রিকেটে হয়ে নতুন রেকর্ড। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ১ হাজার রান ও ১০০ উইকেট নেয়ার নতুন নজির স্থাপন করলেন তারকা এই অলরাউন্ডার।
৯৮ উইকেট নিয়ে ম্যাচ শুরু করেছিলেন তিনি আজ। ম্যাথু ওয়েডকে বোল্ড করে এগিয়ে যান এক ধাপ। পরে অ্যাশটন টার্নারের উইকেট নিয়ে পূর্ণ হয় এই সংস্করণে তার ১০০ উইকেট। পরে পান আরো দুটি উইকেট। যাতে অল আউট হয় অস্ট্রেলিয়া মাত্র ৬২ রানে, যা তাদের টি টোয়েন্টি ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড।
টেস্টে এই ‘ডাবল’ প্রথম করেছিলেন জর্জ গিফেন। অস্ট্রেলিয়ার এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার ১৮৯৫ সালে স্পর্শ করেন ১ হাজার রান, ১৮৯৬ অ্যাশেজের ওল্ড ট্র্যাফোর্ড টেস্টে পূর্ণ করেন ১০০ উইকেট।
ওয়ানডেতে এই কীর্তি প্রথম গড়েন স্যার ইয়ান বোথাম। ওয়ানডেতে হাজার রান পূর্ণ করেন তিনি ১৯৮৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েলিংটনে, ১০০ উইকেটের মাইলফলকে পা রাখেন ১৯৮৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লর্ডসে।
সাকিবের ১ হাজার রান পূরণ হয়েছিল সেই ২০১৬ বিশ্বকাপে, কলকাতায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪০ বলে ৫০ রান করার পথে। ৫ বছর পর হলো উইকেটের সেঞ্চুরি।
সাকিবের আগে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেট নেয়ার কৃতিত্ব আছে কেবল একজনেরই, লাসিথ মালিঙ্গা। সাবেক এই লঙ্কান পেসার রান করতে পেরেছেন কেবল ১৩৬। এই সংস্করণে ১ হাজার রান করা ক্রিকেটারদের মধ্যে সাকিবের পরে সবচেয়ে বেশি উইকেট শহিদ আফ্রিদির, ৯৮টি।