জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করলে ও দেশকে সন্ত্রাসমুক্ত রাখলেই আফগানিস্তানের নতুন সরকারকে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাষ্ট্র।
রাজধানী কাবুল দখলসহ দেশজুড়ে তালেবান গোষ্ঠীর তৎপরতার মধ্যেই স্থানীয় সময় রোববার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এই ঘোষণা দিয়েছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
চীন তালেবানকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে; এমন অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানতে চায় গণমাধ্যম। এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতের আফগান সরকার; যে তার জনগণের মৌলিক অধিকার সমুন্নত রাখবে এবং সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেবে না, আমরা সে সরকারের সঙ্গে কাজ করতে পারি এবং স্বীকৃতিও দিতে পারি।
পরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন বলেন, যে সরকার নারী ও শিশুসহ দেশের জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষা করে না; সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলিকে আশ্রয় দেয়, যাদের যুক্তরাষ্ট্র বা মিত্র এবং অংশীদারদের নিয়ে পরিকল্পনা রয়েছে- অবশ্যই, এমন সরকার ক্ষমতায় বসতে যাচ্ছে না।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। সেনা প্রত্যাহার করতে আফগান তালেবানের সঙ্গে চুক্তি সই হয় ওই সময়।
তবে জো বাইডেন ক্ষমতায় এসে সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার পুরোপুরি শেষ করার সময়সীমা নির্ধারণ করেন। সেনা প্রত্যাহার শুরু হয় এরই মধ্যে। এমন পরিস্থিতিতেই তালেবান যোদ্ধারা আফগানিস্তানের বিভিন্ন এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে শুরু করে।
যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ভয়াবহ হামলার পর আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে ধরতে আফগানিস্তানে অভিযান চালায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী।
এরপর দুই দশকের বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বাহিনী এবং পরে তাদের সহায়তায় গড়ে ওঠা আফগান সামরিক বাহিনীর সঙ্গে তালেবানের যুদ্ধ চলে আসছিল। সর্বশেষ গত ১ মে আফগানিস্তান থেকে আমেরিকান সৈন্য প্রত্যাহার শুরু হওয়ার পর তালেবানের অগ্রযাত্রা শুরু হয়।