বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, পাঁচ ব্যক্তির মৃতদেহ একটি গাড়িতে উঠাতে দেখেছেন তিনি।
এর আগে বিমানবন্দরটির দায়িত্বে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা সোমবার সকালে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে শূন্যে গুলি ছুড়েছিল বলে জানিয়েছেন এক মার্কিন কর্মকর্তা।
তবে নিহতরা গুলিতে না ভিড়ের চাপে মারা গেছেন তা স্পষ্ট নয় বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন আরেকজন প্রত্যক্ষদর্শী।
রোববার তালেবান বিদ্রোহীরা রাজধানী কাবুলে প্রবেশ করার পর থেকেই দেশ ছাড়ার চেষ্টায় শত শত আফগান ওই বিমানবন্দরে জড়ো হন।
বিমানবন্দরের টারমাকের ওপর দিয়ে তাদের দৌড়াদৌড়ি থামাতে যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা শূন্যে গুলি ছুড়ে বলে জানিয়েছিলেন ওই মার্কিন কর্মকর্তা।
এসব মৃত্যুর বিষয়ে মন্তব্য জানার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
এই একই বিমানবন্দর দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দূতাবাস কর্মী ও বেসামরিক নাগরিকরা আফগানিস্তান ছাড়ছেন। তাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া পর্যন্ত বিমানবন্দরটির দায়িত্বে আছে মার্কিন বাহিনী।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লাইটগুলোতে দূতাবাস কর্মীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে, এতে অন্যান্যদের মধ্যে ক্ষুব্ধতা তৈরি হচ্ছে আর তাতে আরও বিশৃঙ্খলা দেখা দিচ্ছে এবং বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে বলে বিবিসি জানিয়েছে।