অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমেলের তান্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়া সুন্দরবনের প্রাণপ্রকৃতি ঘুরে দাঁড়াতে, বন্যপ্রাণি ও মাছের প্রজনন নিশ্চিত করতে তিনমাসের জন্য জেলে-বনজীবীসহ দেশ-বিদেশের সব পর্যটকের প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আজ ১জুন থেকে আগামী ৩০ আগস্ট পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কfর্যকর থাকবে।
সুন্দরবনের বন্যপ্রাণি ও মৎস্য সম্পদ রক্ষায় ইন্টিগ্রেটেড রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট প্ল্যানস (আইআরএমপি) এর সুপারিশ অনুযায়ী ২০১৯ সাল থেকে প্রতি বছর এই নিষেধজ্ঞা জারি করেছে বন বিভাগ। ৩৬ ঘন্টার অধিক সময় ধরে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের তান্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়া এবার জেলেদের পাশিাপাশি বনজীবীসহ সব পর্যটকের সুন্দরবনে প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফলে তিন মাস বন্ধ থাকবে সুন্দরবন প্রবেশের সব পাশ-পারমিট। সুন্দরবন বিভাগের পারমিট নিয়ে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে আবার জেলে-বনজীবীসহ সব ধরনের পর্যটকরা বিশ্ব ঐতিহ্য এলাকা (ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইড) ম্যানগ্রোভ এই বনে প্রবেশ করতে পারবে।
খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক(সিএফ) মিহির দুমার দো জানান, জুন, জুলাই ও আগস্ট মাস হচ্ছে মৎস্য প্রজননের জন্য উপযুক্ত মৌসুম। এই সময় সাধারণত সব মাছে ডিম ছাড়ে। তাই ২০১৯ সাল থেকে সুন্দরবনের বন্যপ্রাণি ও মৎস্য সম্পদ রক্ষায় ইন্টিগ্রেটেড রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট প্ল্যানস’র (আইআরএমপি) সুপারিশ অনুযায়ী প্রতিবছরের মতো এবছরও ১ জুলাই থেকে ৩০ সেপ্টম্বর পর্যন্ত তিনমাস মৎস্য আহরণ বন্ধ থাকবে। এছাড়াও এই সময়টি সুন্দরবনের বন্যপ্রাণিদেরও প্রজনন মৌসুম। এজন্য সুন্দরবন প্রবেশে তিনমাসের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এর ফলে সুন্দরবনে এ তিন মাস নিরাপদে মৎস্য প্রজনন ঘটে থাকে। এবছর অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমেলের তান্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়া সুন্দরবনের প্রাণপ্রকৃতি ঘুরে দাঁড়াতে জেলেদের পাশাপাশি তিনমাস বনজীবীসহ দেশ-বিদেশের পর্যটকদের প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এতে করে ঘূর্ণিঘড়ের সুন্দরবনের বন্যপ্রাণিসহ গাছপালার যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।সূত্রঃবাসস