জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন (ইউএনএইচসিআর) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ উদ্বাস্তু ও বসতবাড়ি ছেড়ে যেতে বাধ্য হওয়া মানুষদের সম্পর্কে পরবর্তী চেঞ্জ-মেকার প্রজন্মকে জানাতে একটি কর্মশালা ও একটি কোর্স পরিচালনায় অংশীদারিত্বের একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে।
রোববার ইউএনএইচসিআর-এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই অংশীদারিত্বের উদ্দেশ্য হলো- শিক্ষার্থীদের বিশ্বব্যাপী উদ্বাস্তু সমস্যাসমূহ গভীরভাবে উপলব্ধি করতে এবং সেগুলোকে বাংলাদেশের অনন্য প্রেক্ষাপটের সাথে সম্পর্কযুক্ত করতে সক্ষম করে তোলা।
এ সমঝোতার আওতায় যৌথভাবে আয়োজিত 'ইউএনএইচসিআর পরিচিতি ও আন্তর্জাতিক শরণার্থী সুরক্ষা'র শীর্ষক একটি কর্মশালা এবং আন্তর্জাতিক শরণার্থী আইন ও শরণার্থীদের সুরক্ষা' শীর্ষক 8-সপ্তাহ মেয়াদি একটি সার্টিফিকেট কোর্স পরিচালিত হবে।
বাংলাদেশে ইউএনএইচসিআর-এর সহকারী প্রতিনিধি জুলিয়েট মুরেকেইসোনি বলেন, 'শিক্ষা হলো বৃহত্তর বোঝাপড়ার দ্বার উন্মোচনের চাবিকাঠি। এবং আমরা সহযোগিতার মাধ্যমে উদ্বাস্তুদের প্রয়োজন সম্পর্কে জানার, বিকশিত হওয়ার এবং তাদের আরো ভালোভাবে সেবা করার নতুন দ্বার উন্মুক্ত করি।'
তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত যে এ কর্মশালা ও কোর্স শিক্ষার্থীদেরকে ভবিষ্যতের সুরক্ষা নেতা হিসেবে বাংলাদেশে ও এর বাইরের অসহায় শরণার্থীদের সুরক্ষায় অর্থবহ অবদান রাখতে সক্ষম করে তুলবে।'
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এএসএম আলী আশরাফ বলেন, 'ইউএনএইচসিআর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহায়তায় যৌথভাবে আয়োজিত শরণার্থী আইন কোর্স ও কর্মশালা শিক্ষার্থীদের বিশেষজ্ঞ পেশাজীবীদের কাছ থেকে শেখার একটি অনন্য সুযোগ এনে দেবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জটিল ও দীর্ঘায়িত শরণার্থী পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে জোরালো সহযোগিতা অপরিহার্য। উদ্বাস্তুদের কার্যকর সুরক্ষায় শরণার্থী বিষয়ক জ্ঞান সম্প্রসারণ শুধুমাত্র শিক্ষার অংশ নয়, শরণার্থীদের অধিকার রক্ষার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।'