তিনি আজ জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে বলেন, ‘নিত্য পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।’
অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে দেওয়া এ ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বন্যার ফলে অনেক জায়গায় ফসলহানির ফলে পণ্য সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যাহত হওয়ার কখা উল্লেখ করে বলেন, ‘বন্যা পরবর্তী সময়ে বাজারে শাক-সবজিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। ফলে আপনাদের কষ্ট হয়েছে।
বন্যার ফলে চালের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় চাল আমদানিতে শুল্ক ছাড় দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বাজারে ডিমের মূল্য কমাতে সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বাজারে ডিমের সরবরাহ বাড়ানোর জন্য আমরা সাড়ে নয় কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছি। এজন্য প্রয়োজনীয় শুল্ক ছাড়ও দেওয়া হয়েছে। মধ্যস্বত্ব ভোগীদের দৌরাত্ম্য কমিয়ে ডিমের উৎপাদনকরা যাতে সরাসরি বাজারে ডিম সরবরাহ করতে পারে সেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
ড. ইউনূস বলেন, মানুষ যাতে স্বল্প মূল্যে কৃষি পণ্য কিনতে পারে সেজন্য রাজধানীসহ বিভিন্ন স্পটে সরকারি কিছু পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। টিসিবির মাধ্যমে ১ কোটি নিম্ন আয়ের ফ্যামিলি কার্ডের মধ্যে ৫৭ লাখকে স্মার্ট কার্ডে রূপান্তরিত করা হয়েছে।
আসন্ন রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহ ও দাম যাতে স্বাভাবিক থাকে এজন্য সরকারের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ ব্যবসায়ীদের সাথে নিয়মিত বৈঠক করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ দ্রব্য মূল্য নিয়ে আমাদের কোনো লুকোছাপা নেই। মূল্যস্ফীতির পূর্ণ তথ্য জনগণের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে। মূল্যস্ফীতি রোধে উচ্চ সুদের হার নির্ধারণসহ একাধিক নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যার মধ্যে রয়েছে শস্য আমদানিতে এলসি সীমা অপসারণ এবং সরবরাহ চেইন সংক্ষিপ্ত করা।’
সামান্য হলেও জ্বালানি তেলের মূল্য কমানোর কথা উলেখ করে ড. মুহাম্মদ ই্উনূস বলেন, ‘শিল্প কারখানায় গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে যাতে স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদন ব্যাহত না হয় এবং রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। গণ-শুনানি ছাড়া নির্বাহী আদেশে বিদ্যুৎ গ্যাসের দাম না বাড়ানোরও সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি বন্ধের চেষ্টা করা হচ্ছে উল্লেক করে তিনি আশা প্রকাশ করেন যে এটি বাজারে পণ্যমূল্য কমিয়ে আনতে ভূমিকা রাখবে।