গত এক যুগের মধ্যে এই প্রথম ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস’র সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি অংশ নিলেন। এর আগে বেগম খালেদা জিয়া সর্বশেষ ২০১২ সালের সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিএনপি’র চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধাানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাথে কুশল বিনিময় করেছেন। বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ও ড. আবদুল মঈন খানসহ বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতৃবন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বেগম খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে পৌঁছে তাঁর আসন গ্রহণের পর প্রধান উপদেষ্টা সেখানে আসেন এবং কুশল বিনিময় করেন।
এর আগে বেগম খালেদা জিয়া ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগদানের উদ্দেশ্যে বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে তাঁর গুলশানের বাসভবন ‘ফিরেজা’ থেকে রওনা দেন এবং বিকেল প্রায় পৌনে ৪ টার দিকে সেনাকুঞ্জে পৌঁছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে পৌঁছলে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান এবং বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান তাঁকে অভ্যর্থনা জানান।
এদিকে, বিএনপি’র মিডিয়া সেল চেয়ারপার্সনের একান্ত সচিবের বরাত দিয়ে গত মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর-’২৪) গণমাধ্যমকে জানান, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস’ উপলক্ষে বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দসহ বিএনপি’র মোট ২৬ জন নেতাকে আমন্ত্রন জানায়।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এ দাওয়াত পত্র পৌঁছে দেওয়া হয়। চেয়ারপার্সনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার এ দাওয়াত পত্র গ্রহণ করেন।