সিরীয় সরকারের চলমান গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনগুলো নিয়ে আলোচনার জন্য জি-৭ এর নেতারা শুক্রবার ভার্চুয়াল বৈঠক করে। ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অধীনে বছরের পর বছর ধরে নির্যাতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ‘আইনের শাসন’ প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
ইসলামপন্থী হায়াত তাহরীর আল-শাম (এইচটিএস) গ্রুপ এবং তাদের সহযোগীদের পরিচালিত একের পর এক আক্রমণের পর আসাদ সিরিয়া থেকে পালিয়ে যান। এর মাধ্যমে সিরিয়ায় আসাদ যুগের অবসান ঘটে।
দেশজুড়ে এবং বিশ্বজুড়ে সিরিয়ানরা টানা ৫৩ বছরের আসাদ যুগ সহ্য করার পরে উৎসব-উদযাপনে ফেটে পড়ে।
প্রায় ১৪ বছরের গৃহযুদ্ধে ৫ লক্ষেরও বেশি লোকের প্রাণহানি হয়েছে এবং বাস্তুচ্যুত হয়েছে লক্ষ লক্ষ লোক। সন্দেহভাজন ভিন্নমতাবলম্বীদের কারাগারে বন্দী করে রাখা হয়েছিল বছরের পর বছর। এদের অনেকেই কারাগারেই মারা গেছেন।
জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা ওসিএইচএ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ২৭ নভেম্বর বিদ্রোহীরা তাদের ঝটিকা আক্রমণ শুরু করার পর থেকে ১১ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
নতুন সরকারের মুখপাত্র এএফপি’কে বলেছেন, তিন মাসের ক্রান্তিকালে দেশটির সংবিধান ও সংসদ স্থগিত করা হবে এবং পরে সংশোধনী আনা হবে।
মুখপাত্র ওবাইদা আরনাউত বলেছেন, ‘সংবিধান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য একটি বিচার বিভাগীয় এবং মানবাধিকার কমিটি গঠন করা হবে।’সূত্রঃ বাসস
এডমিন যোগাযোগ-https://www.facebook.com/profile.php?id=61570080581049