সাবেক মন্ত্রী-উপদেষ্টা, আমলা, বিচারপতি ও রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন কারাগার থেকে মোট ১৬ জনকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। তাদের হাজিরকে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, আসামিদের মধ্যে আরো রয়েছেন-সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, শাহজাহান খান, ফারুক খান, দীপু মনি, কামরুল ইসলাম, কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তৌফিক-ই ইলাহি চৌধুরী, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক সচিব জাহাঙ্গীর হোসেন।
ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে ‘গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ’ সংঘটনের অভিযোগে গত ১৭ অক্টোবর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল।
গত ২৭ অক্টোবর আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ১০ মন্ত্রী, দুই উপদেষ্টা, অবসরপ্রাপ্ত এক বিচারপতি ও সাবেক এক সচিবসহ মোট ১৪ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে ১৮ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী ১৮ নভেম্বর সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ১৩ আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর গুলি, হত্যার নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঠেকাতে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বিচারে গণহত্যা চালায়। প্রায় দেড় হাজার মানুষ প্রাণ হারায় এই আন্দোলনে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের অবসান হয়।
এরপর শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিলে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার বিচার করার সিদ্ধান্ত নেয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রসিকিউশন ও তদন্ত সংস্থা পুনর্গঠন করা হয়। এখন পর্যন্ত শুধু প্রসিকিউশনেই ১৩০টিরও অধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। পাশাপাশি তদন্ত সংস্থায় জমা পড়েছে অনেক অভিযোগ।সূত্রঃ বাসস
এডমিন যোগাযোগ-https://www.facebook.com/profile.php?id=61570080581049