বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘চেয়ারপারসনের অবস্থা এখন স্থিতিশীল আছে, অবনতি ঘটেনি। খুব খারাপ কিছু হয়নি। তিনি একডোজ টিকা নিয়েছেন। ১৯ আগষ্ট আবার টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেবেন।’
শনিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাস আলমগীর বলেন, ‘পদ্মা সেতুর পিলারে বারে বারে ধাক্কার ঘটনা রোধে আগেই ফেরির রুট পরিবর্তন করা উচিত ছিল। এখন তীব্র স্রোত পদ্মায়। এটা তো আর ছোট-খাটো নদী না। সেই পদ্মার স্রোতে এই ধরনের ফেরি কিছুটা ডাইভারটেড হবেই। এজন্য ফেরি চালাতে পারছে না। তাই ওখান থেকে রুটটা সরিয়ে অন্যদিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা উচিত ছিল।’
তিনি বলেন, ‘ফেরিঘাট সরালে ক্ষমতাসীন সরকারের আবার সুবিধাও আছে। ভেঙে অবশ্যই নতুন করে ফেরিঘাট বানানোর চেষ্টা করবে। অনেক টাকা যোগাড় করার সুযোগ পাবে। যেমনটা বুড়িগঙ্গার ওপর প্রথম সেতুর ক্ষেত্রে করার কথা বলা হচ্ছে। আবার কয়েক হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হবে। এরকম প্রকল্পই ওদের দরকার।’
বার বার পদ্মাসেতুর পিলারে ফেরির ধাক্কার বিষয়টিতে কোনো ষড়যন্ত্র আছে কি না তা খতিয়ে দেখবে বলে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকারতো এটাই দেখে। রানা প্লাজার ঘটনাতেও তারা এমন ষড়যন্ত্র দেখেছিল। বিএনপি নাকি ধাক্কা দিয়ে রানা প্লাজাকে ফেলে দিয়েছিল।’
পদ্মাসেতুর ব্যয় সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘পদ্মাসেতুর একেবারে প্রথম থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত ভিডিওর মাধ্যমে ছবি তৈরি করার জন্য সরকার ১৩৫ কোটি টাকার একটা প্রকল্প নিয়েছে। কয়েকদিন আগে ফুলছুড়ি ঘাট-বাহাদুরাবাদ ঘাট চালু করার জন্য ১৩৫ কোটি টাকা খরচ করেছে। এখন দেখা যাচ্ছে যে, জাহাজ আর চলে না।’