গত বছরের সেপ্টেম্বরে নাগোর্নো-কারাবাখ নিয়ে ৪৪ দিনের দীর্ঘ লড়াই করেছিল আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজান। তারপর রাশিয়ার হস্তক্ষেপে যুদ্ধ বন্ধ হলেও উত্তেজনা কমছে না।
বুধবার সীমান্তে আবার গোলাগুলি শুরু হয়। এতে আর্মেনিয়ার তিন সেনা নিহত হয়। আজারবাইজানের কয়েকজন সেনাও আহত হয়। এর পর বৃহস্পতিবার আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান রাশিয়াকে সীমান্তে সেনা পাঠাতে অনুরোধ করেন। তবে রাশিয়া সেই অনুরোধ মেনে সেনা পাঠায়নি।
আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের বলেছেন, আমার মনে হয়, সীমান্তে রাশিয়ার সেনা মোতায়েন করা ঠিক হবে। আর্মেনিয়া-আজারবাইজান সীমান্ত জুড়ে রাশিয়ার সেনা পোস্ট থাকুক। পাশিনিয়ান মনে করছেন, রাশিয়ার সেনা সীমান্তে থাকলে আজারবাইজানের সঙ্গে সংঘর্ষ হবে না। সীমান্তও চিহ্নিত থাকবে। কিন্তু তার প্রস্তাবে ক্রেমলিন এখনো সাড়া দেয়নি। তবে ক্রেমলিনের মুখপাত্র জানিয়েছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গত মে মাসে আর্মেনিয়া অভিযোগ করেছিল, আজারবাইজানের সেনা তাদের এলাকায় ঢুকে পড়েছে। কিন্তু আজারবাইজান তা অস্বীকার করে। নাগোর্নো-কারাবাখ নিয়ে অনেক বছর ধরে বৈরী সম্পর্ক আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে। পার্বত্য নাগোর্নো-কারাবাখ ১৯৯০ এর দশকে আজারবাইজানের অংশ ছিল। তবে অঞ্চলটিতে আর্মেনিয়ার নৃগোষ্ঠীরা বসবাস করে। নব্বইয়ের দশকের শুরুতে এক যুদ্ধে আর্মেনিয়ার সহায়তায় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা অঞ্চলটি দখল করে নেয়।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে নাগোর্নো-কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। এই তুরস্ক সরাসরি আজারবাইজানকে সমর্থন দেয়। তুরস্কের সমর্থন এবং অত্যাধুনিক তুর্কি ড্রোন ব্যবহার করে আজেরি সেনারা যুদ্ধে ব্যাপক সফলতা পায়। ৪৪ দিন যুদ্ধের পর রাশিয়ার মধ্যস্থতায় উভয় দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। কিন্তু আজারবাইজানের সঙ্গে আর্মেনিয়ার উত্তেজনা কমেনি।
সূত্র: ডয়চে ভেলে