অধরা বিশ্বকাপটা তো অবশেষে ধরা দিয়েছে! এখন এই বিশ্বকাপ নিয়ে নাচা হবে, খাওয়া হবে। হবে ঘুমও। এই বিশ্বকাপ ট্রফিটা এখন হয়ে উঠবে নিত্যদিনের সঙ্গী।
আপাতত লিওনেল মেসিকে দেখে সেটাই মনে হচ্ছে। কাতার থেকে বিশ্বকাপ জয় করে এরই মধ্যে দেশে ফিরে গেছেন বিশ্বজয়ী আর্জেন্টিনা দল। বুয়েন্স আয়ার্সে বিমান থেকে নামার পর অভাবনীয় অভ্যর্থনার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে আর্জেন্টিনা দলকে। বিমান বন্দর থেকে প্লাজা ডি লা রিপাবলিকায় অবস্থিত ঐতিহাসিক মনুমেন্ট ওবেলিসকের চত্ত্বরে যোগ দিতে হয়েছে বিজয় উদযাপনে।
বিশ্বকাপ ফাইনাল থেকে শুরু করে বিশাল ধকল গেছে মেসিদের শরীরের ওপর দিয়ে। টানা তিনদিন হয়তো ঘুমছাড়াই উৎসবের মধ্য দিয়ে কাটাতে হয়েছে। দোহা থেকে গতকাল সকালেই দেশের উদ্দেশ্যে বিমানে ওঠে মেসি এবং তার বিশ্বজয়ী দল।
প্রথমে তারা পৌঁছে ইতালির রোমে। সেখান থেকে বুয়েন্স আয়ার্সে। আজ (মঙ্গলবার) ভোরের আলো ফোটার আগেই আর্জেন্টিনা দল পৌঁছে যায় দেশের মাটিতে। বিশ্বজয়ীদের বরণ করে নিতে উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো দেশ।
ওবেলিসকে বিজয়ী উদযাপন শেষে মেসিদের বহনকারী বাস চলে যায় আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশনে। সেখান থেকে ফুটবলাররা ওঠেন তাদের জন্য নির্ধারিত হোটেলে।
দীর্ঘ বিমানভ্রমণ, উদযাপনের ক্লান্তি শেষে খানিক বিশ্রামের সুযোগ পেয়েই মেসির শরীর হেলে পড়ে বিছানায়। অধরা বিশ্বকাপ হাতের মুঠোয় আসার পর মেসি যেন সেটি ছাড়বেনই না। ঘুমানোর সময় সেটি তার নিজের কাছে থাকা ছাই।
সেই ট্রফিকে পাশে নিয়েই এক সময় ঘুমিয়ে পড়েছেন বিশ্বসেরা এই তারকা। মেসি নিজেই ট্রফি পাশে নিয়ে ঘুমানোর ছবি পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা যাচ্ছে বিছানায় প্রথমে রিল্যাক্স মুডে মেসি। এরপর দেখা গেলো শিরোপা পাশে নিয়েই এক সময় ঘুমিয়ে পড়েছেন তিনি।
তিনটি ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। সেখানে লিখেছেন শুধু, ‘শুভ সকাল।’ ছবি পোস্টের পর মাত্র ৫০ মিনিটে ফেসবুকে এই ছবিতে লাইক পড়েছে প্রায় ৫ লাখ মানুষের। মন্তব্য করেছেন প্রায় দেড়লাখ এবং শেয়ার করেছেন প্রায় ১ লাখ ৫৫ হাজার মানুষ।