টোকিও অলিম্পিক স্টেডিয়ামে প্রতিযোগিতার সবচেয়ে আকর্ষণীয় ইভেন্ট ১০০ মিটারে ৯ দশমিক ৮০ সেকেন্ড সময় নিয়ে সেরা হন জেকবস। অলিম্পিকে এই প্রথম সোনা জয়ের স্বাদ পেলেন ২৬ বছর বয়সী এই ইতালিয়ান।
ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে জেকবস ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন লং জাম্প দিয়ে। ২০১৮ সালে পা রাখেন স্প্রিন্টে। ১৯৯২ সালের বার্সেলোনা অলিম্পিকসের গ্রেট ব্রিটেনের লিনফোর্ড ক্রিস্টির পর দ্বিতীয় ইউরোপিয়ান হিসেবে ১০০ মিটারে সেরা হলেন জেকবস। আর ইতালিয়ান হিসেবে প্রথম।
হিটে (রাউন্ড-১) ৯ দশমিক ৯৪ সেকেন্ড সময় নিয়ে দ্বিতীয় হয়েছিলেন জেকবস। সেমি-ফাইনালে একই টাইমিং করে হয়েছিলেন তৃতীয়। মূল লড়াইয়ে করলেন বাজিমাত।
ফ্রেড কার্লি ৯ দশমিক ৮৪ সেকেন্ড সময় নিয়ে রুপা পেয়েছেন। হিটে ৯ দশমিক ৯৭ সেকেন্ড নিয়ে তৃতীয় হয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের এই স্প্রিন্টার। পদকের লড়াইয়ে টাইমিংয়ে কিছুটা উন্নতি করলেও শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠেননি জেকবসের সঙ্গে।
কানাডার আন্দ্রে দে গ্রাস ৯ দশমিক ৮৯ সেকেন্ড সময় নিয়ে পেয়েছেন ব্রোঞ্জ। রিও দে জেনেইরোর মতো টোকিওর আসরও তার জন্য খুব একটা তৃপ্তির হলো না। পাঁচ বছর আগে অলিম্পিকসে ৯ দশমিক ৮১ সেকেন্ড সময় নিয়ে সোনা জেতা বোল্ট ও ৯ দশমিক ৮৯ সেকেন্ড টাইমিং করে রুপা পাওয়া জাস্টিন গ্যাটলিনের পেছনে থেকে ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন ডি গ্রাস।
এবার হিটে ৯ দশমিক ৯১ সেকেন্ড সময় নিয়ে সবার সেরা হয়েছিলেন তিনি। ২৬ বছর বয়সী এই স্প্রিন্টারের এটি ছিল মৌসুম সেরা টাইমিং
দ্বিতীয় এশিয়ান হিসেবে অলিম্পিকসের ১০০ মিটারের ফাইনালে ওঠা চীনে সু বিং তিয়ান ৯ দশমিক ৯৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে হয়েছেন ষষ্ঠ।বাঁশি বাজার আগেই গ্রেট ব্রিটেনের জার্নেল হিউজ দৌড় শুরু করে ডিসকোয়ালিফাইড হন।
২০১২ সালে লন্ডনের আসরে ৯ দশমিক ৬৩ সেকেন্ড টাইমিং করে অলিম্পিকের রেকর্ড গড়েছিলেন বোল্ট। কিংবদন্তি এই স্প্রিন্টার ২০০৯ সালে জার্মানির বার্লিনে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ্সে ৯ দশমিক ৫৮ সেকেন্ড টাইমিং করে গড়েছিলেন বিশ্বরেকর্ড। টানা তিন অলিম্পিকসে ১০০ মিটার ও ২০০ মিটারে সোনা জয়ী একমাত্র অ্যাথলেটের মুকুট আজও শোভা পাচ্ছে ২০১৭ সালে অবসরে যাওয়া বোল্টের মাথায়। ১০০ মিটারে তার টাইমিংয়ের রেকর্ড যথারীতি অটুট থাকল।
এই ইভেন্টের পদকের লড়াইয়ে এবার ছিল না বোল্টের জ্যামাইকার কেউ। মেয়েদের ১০০ মিটারে অবশ্য সোনা-রুপা-ব্রোঞ্জ তিন পদকই জিতেছেন জ্যামাইকান স্প্রিন্টাররা।